ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক মঞ্জু কাপুরের প্রথম উপন্যাস 'ডিফিকাল্ট ডটার্স' ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে কমনওয়েলথ রাইটার্স পুরষ্কার অর্জন করে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সময় নিয়ে লিখিত তাঁর গবেষণাধর্মী উপন্যাসে প্রেম ছাড়াও বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, নারীবাদ, সমসাময়িক পারিবারিক ও শহুরে মূল্যবোধের মতো বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ কারিগরের দক্ষতায়।
ঔপন্যাসিকের বর্ণনাভঙ্গির কারণে অনেক ঘটনা ও চরিত্র পাঠকের কাছে পরিচিত ও ঘনিষ্ট মলে হয়। ভারত বিভাগপূর্ব সময়েও নারীরা প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং তাদের কণ্ঠ সোচ্চার হতে শুরু করেছিল সকল পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্যের যে প্রাচীর ছিল তা ক্রমেই দূর হয়ে আসছিল।
শিক্ষিত নারীদের আবেগের যে দিকটি অবহেলিত ছিল এবং তাদের আকাঙ্খা অবদমিত রাখতে বাধ্য করা হত তার স্ফুরণ ঘটানোর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় 'ডিফিকাল্ট ডটার্স'-এ ৷ মঞ্জু কাপুর স্বীকার করেছেন থে, তার উপন্যাসের মূল চরিত্র 'বীরুমতি' আসলে তার মা, যিনি তার বাবা-মা'র যন্ত্রণার উৎসে পরিণত হয়েছিলেন। এর সাথে যুক্ত হয়েছিল দেশ বিভাগকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত বেদনাদায়ক ঘটনাগুলো, যা তিনি পাঠককে জানানোর তাগিদ অনুভব করে উপন্যাসটি লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি তার প্রচেষ্টায় যে সফল হয়েছেন তার প্রমাণ 'ডিফিকাল্ট ডটার্স' প্রকাশিত হওয়ার পর এটি বেস্ট-সেলারে পরিণত হওয়ায়।
এক যুগ আগে উপন্যাসটির প্রথম বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত 'ডিফিকাল্ট ডটার্স' -এর কোনো সংস্করণ প্রকাশিত না হওয়ায় সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'নালন্দা' বাস্তবধর্মী এই উপন্যাসটি পুনঃপ্রকাশ করে পাঠকের আগ্রহ পূরণে এগিয়ে এসেছে।
No comments:
Post a Comment