মনোজ বসু ( ২৫ জুলাই ১৯০১ — ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭ ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক। মনোজ বসুর জন্ম ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে জুলাই বৃটিশ ভারতের বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর থানার ডোঙ্গাঘাট গ্রামের এক মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারে। তবে পরিবারটির বংশগৌরব ও খ্যাতি ছিল ।তার পিতার নাম রামলাল বসু। মাত্র আট বৎসর বয়সে যখন তিনি পিতৃহীন হন, তখন তিনি পাঠশালার গণ্ডি পার হননি। প্রথমে নিজ গ্রামে পরে,১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এরপর খুলনার বাগেরহাট কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়ার সময়ই তিনি বিপ্লবী দল যুগান্তরের সংস্পর্শে আসেন ও স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি আই.এ. পাশ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সাউথ সুবারবন কলেজ, বর্তমানের আশুতোষ কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। পরবর্তীতে, আইন পড়া শুরু করলেও আর্থিক কারণে তা শেষ করতে পারেননি।
সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ বাল্যকাল থেকেই ছিল। সাত বছর বয়স থেকে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় সহপাঠীদের নিয়ে হাতে লিখে দেওয়াল পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকায় প্রকাশিত তার লেখা প্রথম গল্প ছিল "গৃহহারা"। তার গল্পের সংকলন 'বনমর্মর' ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। নিজে যখন নিয়মিত কবিতা গল্প লেখালেখা শুরু করেন, সেই সাথে অন্যান্য প্রকাশনার কাজও করে গেছেন। গুরুসদয় দত্ত রচিত ব্রতচারীদের জন্য অপরিহার্য সঙ্গী -'ব্রতচারী সখা' র (১৯৩৩) প্রকাশনা করেন মনোজ বসু। এছাড়াও, গুরুসদয় দত্ত প্রতিষ্ঠিত 'বাংলার শক্তি'(১৯৩৬) মাসিক পত্রিকার সম্পাদনাও করতেন তিনি। প্রকাশনা ও সম্পাদনা কাজের পাশাপাশি তিনি নিজে উপন্যাস রচনা শুরু করেন। তার প্রতিটি উপন্যাসে দেশ, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের মানুষের দৈনন্দিন খুঁটিনাটি সমস্যা, বাংলার নিসর্গ চিত্র, গ্রামীণ মানুষের জীবনাচরণ চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে তার লেখায়। সেসময়ের সশস্ত্র বিপ্লবীদের ব্যক্তিজীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন সর্বাধিক জনপ্রিয় গ্রন্থ "ভুলি নাই"। মূলতঃ,মানুষের জীবনকথা আর তাদের জগৎ নিয়ে বিভিন্ন পটভূমিতে তার অভিজ্ঞতা পরিস্ফুট হয়েছে অসংখ্য কবিতায়, গল্পে , উপন্যাসে, নাটকে আর ভ্রমণকাহিনীতে। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি হিন্দী, ইংরেজি,গুজরাটি,মারাঠা,মালয়ালম ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণও হয়েছে। মনোজ বসু পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। ভারতের বহু সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংস্থার পৌরহিত্য করেছেন ও ভারতীয় সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি হিসাবে বহুবার বিদেশ ভ্রমণও করেছেন। মনোজ বসু ছিলেন একজন প্রথম শ্রেনীর ছোটগল্পকার।
সাহিত্যকীর্তির জন্য স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিখ্যাত "নিশিকুটুম্ব" উপন্যাসটির জন্য ভারতের সাহিত্য সম্মাননা - সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ পুরস্কারে,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'শরৎচন্দ্র পদক ও পুরস্কারে' সম্মানিত হয়েছেন।
বই ডাউনলোড করতে সরাসরি বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন এবং আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
- আগস্ট ১৯৪২
- আমার ফাঁসি হল
- আমি সম্রাট
- উলু
- এক বিহঙ্গী
- একদা নিশীথ কালে
- কুঙ্কুম
- খদ্যোত
- চীন দেখে এলাম [পর্ব-২]
- জল জঙ্গল
- তিন কাহিনী
- তিনটি তারার আলো
- থিয়েটার
- দিল্লি অনেক দূর
- দুঃখ-নিশার শেষে
- দেবী কিশোরী
- নববাঁধ
- নবীন যাত্রা
- নিশি কুটুম্ব ১ম ও ২য় পর্ব
- নূতন প্রভাত
- পথ কে রুখবে
- পথচলি
- পৃথিবী কা'দের ও অন্যান্য গল্প
- প্রেম নয়, মিছে কথা
- প্লাবন
- বকুল
- বন কেটে বসত
- বনমর্ম্মর ও অন্যান্য গল্প
- বাঁশের কেল্লা
- বিলাসকুঞ্জ বোর্ডিং
- বৃষ্টি বৃষ্টি
- মনোজ বসু - জীবন ও সাহিত্য - দীপক চন্দ্র
- মনোজ বসু রচনাবলী ১ম খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ২য় খন্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৩য় খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৪র্থ খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৫ম খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৬ষ্ঠ খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৭ম খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৮ম খণ্ড
- মনোজ বসু রচনাবলী ৯ম খণ্ড
- মনোজ বসুর গল্প সমগ্র (উত্তর পর্ব)
- মনোজ বসুর গল্প-সংগ্রহ ১ম খণ্ড
- মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ গল্প
- মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (রজত খন্ড)
- মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (সুবর্ণ খণ্ড)
- মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (হীরক খণ্ড)
- মানুষ গড়ার কারিগর
- মানুষ নামক জন্তু
- মায়া কন্যা
- যুগান্তর
- রক্তের বদলে রক্ত
- রাখিবন্ধন
- রাজকন্যার স্বয়ম্বর
- রূপবতী
- শত্রুপক্ষের মেয়ে
- শেষলগ্ন
- সন্ধানীর চোখে পশ্চিম
- সন্ন্যাসীর থলে
- সবুজ চিঠি
- সাজবদল
- সেতুবন্ধ
- সৈনিক
- সোভিয়েতের দেশে দেশে
No comments:
Post a Comment