অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ০৬ নভেম্বর ১৯৩০ ঢাকা, বাংলাদেশ |
মৃত্যু | (বয়স ৮৫) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | লেখক |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে |
পুরস্কার | বঙ্কিম পুরস্কার(১৯৯৮) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার(২০০১) |
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬ নভেম্বর ১৯৩০ (২২শে কার্তিক ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ) - ১৯ জানুয়ারি ২০১৯) ছিলেন এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক।
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ই নভেম্বর (২২শে কার্তিক ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ) বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার আড়াই হাজার থানার রাইনাদি গ্রামে। (কিন্তু সার্টিফিকেট অনুসারে জন্ম তারিখ - ১লা মার্চ ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ। এটি সঠিক ছিল না। তার সাক্ষাৎকার দ্রষ্টব্য) তার পিতা অভিমন্যু বন্দ্যোপাধ্যায় মুড়াগাছা জমিদারের অধীনে কাজ করতেন। মাতার নাম লাবণ্যপ্রভা দেবী। তার শৈশব কৈশোর কেটেছে গ্রামের বাড়িতে যৌথ পরিবারে। স্কুলের পড়াশোনা সোনারগাঁও এর পানাম স্কুলে। কিন্তু দেশভাগের পর ছিন্নমূল হয়ে তারা চলে আসেন ভারতে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের বানজেটিয়া গ্রামে গড়ে ওঠা মণীন্দ্র কলোনিতে পিতার বাড়িতে কিছুকাল থিতু হয়ে থাকেন। এখান থেকেই প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন। তারপর যাযাবরের ন্যায় কেটেছে তার যৌবন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.কম.পাশ করেন ও পরে বি.টি. পাশ করেন। বি.টি.পড়ার সময়ই আলাপ হয় সহপাঠী 'মমতা'র সাথে। পরে তাকে বিবাহ করেন।
এরপর কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়লেন। কখনো নাবিকরূপে সারা পৃথিবী পর্যটন, আবার কখনো বা ট্রাক-ক্লিনারের কাজ লেগে পড়া। পরে এক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। অল্প কিছু দিন মুর্শিদাবাদ জেলার চৌরীগাছা স্টেশন নিকটস্থ সাটুই সিনিয়ার বেসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি। তিন-চার বৎসর সাটুইয়ে থাকার পর ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পাকাপাকি ভাবে চলে আসেন কলকাতায়। কখনো হলেন কারখানার ম্যানেজার, কখনো বা প্রকাশনা সংস্থার উপদেষ্টা। পরে অমিতাভ চৌধুরীর আহ্বানে যোগ দেন কলকাতার 'যুগান্তর' পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজে এবং সেখান থেকেই কর্মে অবসর নেন।
বিভিন্ন পেশার মধ্যে থেকেও লেখালেখি করে গেছেন তিনি। তবে কলেজে পড়ার সময় থেকেই তার সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ জন্মে যায়। আর পেশার তাগিদে ঘুরে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই স্থান পেয়েছে তার সাহিত্যকর্মে। তার প্রথম গল্প ওয়েলসের বন্দর শহর নিয়ে লেখা 'কার্ডিফের রাজপথ' প্রকাশিত হয় বহরমপুরের "অবসর" পত্রিকায়। তার এর পরের গল্প ছিল 'বাদশা মিঞা'। বহরমপুরের কলেজের বন্ধুদের আগ্রহে'উল্টোরথ'পত্রিকায় উপন্যাস প্রতিযোগিতায় জাহাজের জীবন নিয়ে প্রথম উপন্যাস "সমুদ্র মানুষ" লিখেই ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে 'মানিক-স্মৃতি পুরস্কার' লাভ করেন তিনি। এরপর তিনি তার অর্থসঙ্কট মেটাতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে লিখে গেছেন বহু উপন্যাস। ছোট-কিশোর ও বড়দের সবার জন্যই তিনি লিখেছেন। তবে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসটি হল 'নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে'। এটি মূলতঃ চারটি সিরিজে বিন্যস্ত। প্রথম পর্ব 'নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে',দ্বিতীয় পর্ব 'মানুষের ঘরবাড়ি',তৃতীয় পর্ব 'অলৌকিক জলযান' এবং চতুর্থ পর্ব হল 'ঈশ্বরের বাগান'। দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে লেখা এই উপন্যাসে ছিন্নমূল মানুষের জীবন,তাদের সংগ্রামী বিষয় এবং পটভূমিসহ জীবনের রোমাঞ্চকর অভিযানের লৌকিক অলৌকিক উপলব্ধি সুন্দরভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। তার এই রচনা কেবল বাংলা সাহিত্যকে নয়,ভারতীয় সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। ভারতের ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে ক্লাসিক পর্যায়ে বারোটি মূল ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে গ্রাম বাংলার জীবনও অনেক বেশি করে ধরা দিয়েছে। তাই তার মধ্যে অনেকে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকার খুঁজে পান।
বই ডাউনলোড করতে সরাসরি বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন এবং আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন
- অতীন্দ্রিয় অলৌকিকের অন্তরালে
- অন্তর্গত খেলা
- অন্নভোগ
- অরন্য রাজ্যে ম্যান্ডেলা
- অলৌকিক জলযান
- আজব দেশে বুমবাই
- ঈশ্বরের বাগান ১ম খণ্ড
- ঈশ্বরের বাগান ২য় খণ্ড
- একটি জলের রেখা
- একটি জলের রেখা ও ওরা তিনজন
- একালের বাংলা গল্প
- কবির স্ত্রী
- কিশোর সাহিত্য
- খাদান
- গল্পসরণি অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ সংখ্যা
- গিনি রহস্য
- চারু ইন্দ্র এবং কলকাতা
- জীবন বড় ভারবাহী জন্তু
- ঝিনুকের নৌকা
- টুকুনের অসুখ
- তুষারকুমারী
- তোমারই নাম কর্ণ
- দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার
- দুই ভারতবর্ষ
- দেবী মহিমা
- নগ্ন ঈশ্বর
- নায়কের মতো
- নানা রসের ৬টি উপন্যাস
- নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে পার্ট-১
- নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে পার্ট-২
- পাঁচটি উপন্যাস
- পাগলিনী রাধা
- পালকের টুপি
- প্রশস্ত হলঘরে
- প্রেম
- ফোটা পদ্মের গভীরে
- বাংলা ছোটগল্প_প্রসঙ্গ ও প্রকরণ ১ম খণ্ড
- বিন্দু-রহস্য
- বিন্নির খই লাল বাতাসা
- বিভ্রম
- মনোরম বনভূমি
- মানগানু উপত্যকার বেড়াল
- মানুষের ঘরবাড়ী
- মুহূর্তকথা
- মৃত্যুপথের যাত্রী
- যদি রাধা না হ'ত
- রাজা যায় বনবাসে
- রূপকথার আংটি
- রোদ্দুরে জ্যোৎস্নায়
- শঙ্খচিলের ডানা
- শামুকখোল
- শূণ্যের মাঝারে বানাইল
- শেষ দৃশ্য
- শ্লীল অশ্লীল
- সমুদ্রমানুষ
- সমুদ্রযাত্রা
- সমুদ্রে বুনোফুলের গন্ধ
- সহেলি
- সাগরজলে
- সাগরে-মহাসাগরে
- সাহিত্যের সেরা গল্প
- সুন্দর অপমান
- সোহাগপুরা
- স্বর্গ খেলনা
No comments:
Post a Comment