জুল ভের্ন রচিত ‘দ্য মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড’ অবলম্বনে কুলদারঞ্জন রায় অনূদিত আশ্চর্য দ্বীপ। বিখ্যাত ফরাসি লেখক জুল ভের্ন বিজ্ঞানভিত্তিক রোমাঞ্চকর কাহিনি লিখেছেন প্রায় দেড়শো বছর আগে, কিন্তু আজও সেই অপূর্ব অ্যাডভেঞ্চারের গল্পগুলি কিশোর-চিত্তে রোমাঞ্চ জাগায়।
জুল ভের্ন ১৮৭২ কিংবা ১৮৭৩ এর শুরুতে এই উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন। মূল উপন্যাসে প্রচুর কেমিক্যাল প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তির বর্ণনা রয়েছে। উপন্যাসটি লেখার সময় লেখক অনেকটা সময় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে গিয়ে কেমিস্টদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। অনেক সমালোচকের মতে উপন্যাসে বর্ণিত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট এরকম আশ্চর্য দ্বীপের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় যেখানে এত বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি এবং গাছপালার সম্ভার দেখা যাবে। অন্য একদল সমালোচকের মতে লেখক লিঙ্কন দ্বীপ বলতে গোটা পৃথিবীতে মানব সভ্যতার বিকাশকেই বুঝিয়েছেন, যেখানে আগুন জ্বালানো থেকে শুরু করে গুলি-বারুদ তৈরি সবই দেখানো হয়েছে।
বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদগুলি যাঁরা বাংলা ভাষায় সার্থক অনুবাদ করে দেশের ছেলেমেয়েদের হাতে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কুলদারঞ্জন রায় একজন পথিকৃৎ। উপন্যাসটি ধারাবাহিক আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় সন্দেশ পত্রিকায় বৈশাখ ১৩৩২ সালে ত্রয়োদশ বর্ষ ১ম সংখ্যা থেকে। সেই সঙ্গে জুল ফিহা-র মূল অলংকরণগুলিও প্রকাশিত হয়েছিল। পরে লীলা মজুমদার এবং সত্যজিৎ রায়ের সম্পাদনায় সন্দেশে বৈশাখ ১৩৭১ থেকে চৈত্র ১৩৭৩ অবধি উপন্যাসটি ধারাবাহিক আকারে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল। কয়েকটি অলংকরণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
No comments:
Post a Comment