এক সময় মানুষ শূন্যকে কি করে প্রকাশ করবে তাই জানত না। সেই শূন্যতা পূরণ করা থেকে আরম্ভ করে আধুনিক বিজ্ঞান আবার সেই শূন্যতাকেই কাজে লাগিয়ে কেমন করে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে পারে তারই এক রোমাঞ্চকর বর্ণনা এই বইটি। “কিছু নেই” এর বদলে কেন “কিছু আছে” মানুষের সেই প্রশ্ন প্রায় প্রাগৈতিহাসিক। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে কি মহাবিশ্ব আত্মপ্রকাশ করতে পারে শূন্য থেকে? সাধারণ প্রাকৃতিক উপায়ে কি সবকিছুর সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু এই সমাধান পর্যন্ত পৌঁছতে গিয়ে মানুষকে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে, বৈজ্ঞানিক নিয়ম গড়তে হয়েছে, গাণিতিক পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হয়েছে, প্রাকৃতিক আইন আবিষ্কার করতে হয়েছে। এই বিশাল অভিযানকে সহজে বোঝা সম্ভব নয়, কিন্তু মীজান রহমান ও অভিজিৎ রায় এমন ভাষায় এই জটিল কাহিনীকে লিখেছেন যা পাঠককে একটা গোয়েন্দা কাহিনীর মত আকর্ষণ করে রাখবে। এই বইটি পড়ে পাঠক যেমন বিজ্ঞানের ইতিহাস জানবে তেমনি অত্যাধুনিক বিজ্ঞান মহাবিশ্বকে কীভাবে দেখে সেটাও বুঝবে।