Pages

Monday, December 12, 2022

শেরেবাংলা হইতে বংগবন্ধু - আবুল মনসুর আহমদ

শেরেবাংলা হইতে বংগবন্ধু - আবুল মনসুর আহমদ

আবুল মনসুর আহমদ তাঁর দুর্লভ বিশ্লেষণ-ধর্মী মনোভংগী, বিরল অভিজ্ঞতাপূর্ণ রাজনৈতিক নিরিখ এবং প্রখর দূরদৃষ্টির সাহায্যে আমাদের সত্যিকার স্বাধীনতায় উত্তরণের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও মন- স্তাত্ত্বিক দিকের পর্যালোচনা করেছেন। তাঁর সে পর্যালোচনা একাধারে সৃষ্টি- কুশলতায় শক্তিশালী এবং ভাষার প্রখরতা ও যুক্তির সংহত প্রয়োগে সমুজ্জ্বল। শেরে-বাংলার উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাবের মর্মকথা কী ছিল, তার মধ্যে বাংলার মুসলিম মানসের কী মনস্তত্ত্ব কাজ করেছিল - এ বইতে এক দিকে যেমন তার বিশ্লেষণ বিবৃতি, অন্যদিকে তেমনি ভারত বাঁটোয়ারার ফলে বাংগালী কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছিল এবং কিভাবে তাকে অবলীলাক্রমে ঠকানো হয়েছিল, তার যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণ ও দৃষ্টান্তাবলী এ বইয়ের অন্যতম উপজীব্য হয়েছে। অতঃপর পাকিস্তানী আমলের পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শোষণ, বৈরী ও প্রতিকূল মনোভাব, জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন, নিগ্রহ এবং শেষ পর্যায়ে ব্যাপক গণহত্যার মনস্তত্ত্বও এ বইয়ের আলোচ্য বিষয়ের অন্তভক্তি হয়েছে। পাকিস্তানী আমলের ধর্মে'র নামে ধাপ্পাবাজী, একের পর এক ওয়াদা ভংগ, বাংলাদেশকে ক্রমাগত পাঞ্জাবীদের পদানত করার চক্রান্ত, সামরিক শক্তির জোরে সংহতির নামে নিজেদের একাধিপত্য রক্ষার অপচেষ্টা, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শ'ন ইত্যাদি বিষয়ের পাশাপাশি বাঙালীর সদিচ্ছা ও সহনশীলতা, বাঙালী নেতৃত্বের উদারতা, দূরদর্শিতা ও সংগ্রামশীলতা ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।

বইটি পড়তে বা ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন...



 

গালিভরের সফরনামা - আবুল মনসুর আহমদ

গালিভরের সফরনামা - আবুল মনসুর আহমদ

আবুল মনসুর আহমদ ব্যঙ্গসাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিমান। রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক হিসেবে দেশ ও সমাজের অসংগতিগুলো দেখেই ক্ষান্ত থাকেননি। হাস্যরসের মাধ্যমে পাঠকের সামনে তা তুলে ধরেছেন। সমাজের জন্য ভালোবাসা এবং সংবেদনশীল মন তাঁর গল্পগুলো বিশেষ রকম উপাদেয় করে তুলেছে। নির্বাচন, সমাজের মধ্যে বিভাজন, শিক্ষাব্যবস্থার সংকট—এসব নিয়ে এই লেখাগুলো আজকের দিনে হয়তো আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

বইটি পড়তে বা ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন...



স্বয়ম্বরা - আবুল ফজল

স্বয়ম্বরা - আবুল ফজল

কিংবদন্তীতুল্য প্রজ্ঞা ও মনীষা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবুল ফজল। আর সেই প্রজ্ঞা ও মনীষার ভিত্তিতে ছিল হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি।

এ বইর অন্তর্গত লেখাগুলি, লেখকের এক বয়সে, এবং একই মেজাজে লেখা হয়নি। বয়স আর সময়ের স্বাক্ষর প্রায় সব ক'টি লেখাতেই অসন্দিগ্ধ। কালের পথ-যাত্রায় লেখকও একজন পথিক মায়, যে পথিকের মনের চোখ সব সময় খোলা থাকে। তাই অনেক কিছুই তিনি দেখেন, অনেক কিছুই তাঁর মনকে দেয় নাড়া। তার খন্ডাংশেরই পরিচয় এলেখাগুলি। প্রতিপাদ্য আর কুশীলবেরা কাল্পনিক হলেও তা কোন অংশেই কাল কিম্বা সমাজ পটভূমি বিচ্ছিন্ন নয়। সংস্কারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে কোন কোন ব্যাপারে আধুনিক সমাজের দ্বারপ্রান্তে পদক্ষেপের চিহ্নও হয়তো এসব রচনার কোন কোনটায় খুঁজে পাওয়া যাবে। লেখা মাত্রই কালের সাক্ষী।

বইটি পড়তে বা ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন...



 

কাকলিমুখর - আবুল কালাম শামসুদ্দীন

কাকলিমুখর - আবুল কালাম শামসুদ্দীন


 

অতীত দিনের স্মৃতি - আবুল কালাম শামসুদ্দীন

সাংবাদিক ও রাজনীতিক আবুল কালাম শামসুদ্দীনের আত্মজীবনী।


অতীত দিনের  স্মৃতি -  আবুল কালাম শামসুদ্দীন


 

Sunday, December 11, 2022

সিকান্দার আবু জাফর রচনাবলী ০৩ - আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত

সিকান্দার আবু জাফর একজন বাঙালি কবি, সঙ্গীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক। তিনি ভারত বিভাগোত্তর কালে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা সমকাল সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত।

সিকান্দার আবু জাফর রচনাবলী ০৩ - আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত


 

সিকান্দার আবু জাফর রচনাবলী ০২ - আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত

সিকান্দার আবু জাফর একজন বাঙালি কবি, সঙ্গীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক। তিনি ভারত বিভাগোত্তর কালে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা সমকাল সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত।

সিকান্দার আবু জাফর রচনাবলী ০২ - আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত


 

সিকান্দার আবু জাফর রচনাবলী ০১ - আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত

সিকান্দার আবু জাফর একজন বাঙালি কবি, সঙ্গীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক। তিনি ভারত বিভাগোত্তর কালে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা সমকাল সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত।

সিকান্দার আবু জাফর রচনাবলী ০১ - আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত


সত্যের মতো বদমাশ - আবদুল মান্নান সৈয়দ

সত্যের মতো বদমাশ (১৯৬৮) সালে আবদুল মান্নান সৈয়দ-এর লেখা প্রথম গল্প গ্রন্থ। এই গল্প গ্রন্থের একটি বহুল আলোচিত একটি গল্প ‘সত্যের মতো বদমাশ’।

সত্যের মতো বদমাশ - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

সকল প্রশংসা তার - আবদুল মান্নান সৈয়দ

সকল প্রশংসা তাঁর- যিনি ঊর্ধাকাশের মালিক;
নক্ষত্রের চলাফেরা চলে যাঁর অঙ্গুলিহেলনে;
আমরা আশ্রিত তাঁর করুণায়: জীবনে, মরণে;
তাঁর আলো চন্দ্র-সূর্য-তারাদের আলোর অধিক।

সকল প্রশংসা তার - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

শুদ্ধতম কবি - আবদুল মান্নান সৈয়দ

জীবনানন্দ দাশের কবিতা ও কবিমানস সম্পর্কি‌ত ব্যাপকভিত্তিক ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ আলোচনা করা হয়েছে এই বইয়ে । কবিতার বহিরঙ্গ এবং আভ্যন্তরীণ রূপৈশ্ব‌র্যে‌র অনন্য পরিচয় ফুটে উঠেছে আবদুল মান্নান সৈয়দের নিপুণ বিশ্লেষণে।

শুদ্ধতম কবি - আবদুল মান্নান সৈয়দ

 

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ অন্তর্বাস্তবতা বহির্বাস্তবতা - আবদুল মান্নান সৈয়দ

আবদুল মান্নান সৈয়দের সৃজনশীল সত্তার চেয়ে তার মননশীল সত্তাই কখনো কখনো অনেক বেশী আদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে । লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনার সঙ্গে তিনি যাপন করেছেন দীর্ঘ সময় । প্রথমে চেয়েছিলেন মানিকের উপন্যাস নিয়ে লিখতে । পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় তাঁর ছোটগল্প ও কবিতা নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা । সেদিক থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমগ্র সাহিত্যকর্মের একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন এই বই।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ অন্তর্বাস্তবতা বহির্বাস্তবতা - আবদুল মান্নান সৈয়দ

 

ফররুখ আহমদ জীবন ও সাহিত্য - আবদুল মান্নান সৈয়দ

কবি ফররুখ আহমদ। আয়ুষ্কাল অল্প। মাত্র ৫৬-৫৭ বছরের (১৯১৮-৭৪)। কিন্তু তারই মধ্যে তিনি বাংলা কবিতার এক প্রােজ্জ্বল কবি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। আমাদের সাহিত্যের এই অবিস্মরণীয় কবির জীবনচরিত ও সৃষ্টিকর্মের পরিপূর্ণ আলেখ্য এই বইটি।

ফররুখ আহমদ জীবন ও সাহিত্য - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

নির্বাচিত শিখা - আবদুল মান্নান সৈয়দ

আবদুল মান্নান সৈয়দ (৩ আগস্ট ১৯৪৩ - ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও সাহিত্য-সম্পাদক। তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের "পোয়েট ইন রেসিডেন্স" ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর ষাট দশক থেকে বাংলা সমালোচনা-সাহিত্যে তার গবেষণাধর্মী অবদান ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশের উপর তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা কর্ম রয়েছে। তিনি ফররুখ আহমদ, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিষ্ণু দে, সমর সেন, বেগম রোকেয়া, আবদুল গনি হাজারী, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, প্রবোধচন্দ্র সেন প্রমুখ কবি-সাহিত্যিক-সম্পাদককে নিয়ে গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশের সাহিত্যমহলে তিনি 'মান্নান সৈয়দ' নামেই পরিচিত ছিলেন।

নির্বাচিত শিখা - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

ডায়েরী ১৯৭৮-২০০৮ - আবদুল মান্নান সৈয়দ

আবদুল মান্নান সৈয়দ আমাদের সাহিত্যপরিমগুলের এক অনিবার্য ব্যক্তিত্ব। কবিতা- গল্প-উপন্যাস- প্রবন্ধ-সমালোচনা-গবেষণা-কাব্যনাটকসহ সাহিত্যের সব-ক'টি অঙ্গনে তিনি অবদান রেখেছেন। এখনো তার কলম সতৃষ্ণ এবং নতুনতর বিষয়ের অভীক্ষায় প্রবৃত্ত। প্রথমবারের মতো বিগত তিরিশ বছর (১৯৭৮-২০০৮) সময়সীমার মধ্যে তার ডায়েরি সংস্থিতি পাচ্ছে এই বইয়ে। একজন উজ্জ্বল ব্যক্তির দিনলিপির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সেটি তো আছেই। সঙ্গে সঙ্গে তিনি যে সময়ের তার নিজস্ব ভাবনাজগৎ ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং তার সাহিত্যিক নিবেদনকে বুঝতেও সহায়তা করবে।

ডায়েরী ১৯৭৮-২০০৮ - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

ছন্দ - আবদুল মান্নান সৈয়দ

বইটি সম্পর্কে লেখক নিজেই যা বলেছেন:
"যথাসাধ্য সহজ ও স্বচ্ছভাবে বাংলা ছন্দের মতো দুরূহ বিষয়কে উপস্থিত করবার চেষ্টা করেছি। পাদটীকা যথাসম্ভব বর্জন করেছি। পারিভাষিক কুহেলি ও জটিলতা যথাসাধ্য পরিহার করেছি। মূল জিনিশটি ধরে দেবার চেষ্টা করেছি..."

ছন্দ - আবদুল মান্নান সৈয়দ

গল্পসংগ্রহ - আবদুল মান্নান সৈয়দ

আবদুল মান্নান সৈয়দের গল্পসংগ্রহে স্থান পেয়েছে আটাশটি গল্প। সংগ্রহটি গ্রন্থিত ও অগ্রন্থিত দুটি পর্বে বিভক্ত। গ্রন্থিত অংশে ‘জলপরি’, ‘কে তুমি’, ‘চোখ’ ইত্যাদিসহ তাঁর বিভিন্ন প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ থেকে ১১টি গল্প নেয়া হয়েছে। আর অগ্রন্থিতভাগের গল্প-- যেগুলো এই প্রথম মলাটবন্দী হচ্ছে। তাই পুরোনো বিখ্যাত গল্পগুলোর পাশাপাশি একগুচ্ছ অগ্রন্থিত গল্পে পাঠক নতুনত্বের আস্বাদ পাবেন। তবে গল্পের বয়ানে ও বুননে নিজস্ব অন্তর্বাস্তবিক কুশলতা চিরচেনা মান্নান সৈয়দকে মনে করিয়ে দেয়।


গল্পসংগ্রহ - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

একাত্তর - আবদুল মান্নান সৈয়দ

"একাত্তর" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আবদুল মান্নান সৈয়দ একটি গল্প লিখেছিলেন, ব্ল্যাকআউট’। আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন এ পর্যন্ত দুটি উপন্যাস - ক্ষুধা প্রেম আগুন আর এই একাত্তর প্রথম উপন্যাসটি প্রথম সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে, আর একাত্তর উপন্যাসটি ১৯৯৫ সালে। প্রথম উপন্যাসের পটভূমি ছিল ঢাকা, আর দ্বিতীয় উপন্যাসটির পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশের একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চল। এবং প্রতিবেশী দেশের একটি সীমান্ত শহর। সাময়িকপত্রের পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধার করে একাত্তর এই প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলো। মান্নান সৈয়দের এই উপন্যাসে পাঠক পাবেন সেই বিলোড়ক কালের একটি চিত্র, কিন্তু চিত্রঅতিক্রমী হৃদয়স্পর্শিতাও।


একাত্তর - আবদুল মান্নান সৈয়দ


 

আবদুল মান্নান সৈয়দের শ্রেষ্ঠ কবিতা

'শ্রেষ্ঠ কবিতা' নামটি প্রচলিত অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। শ্রেষ্ঠ কবিতা সমগ্র কবিতাসংগ্রহ নয় - কবির পরিচয় তার সমগ্র কবিতায় এমনকি সমগ্র রচনায়। আর এটি একজন চলিষ্ণু কবিরই চলিষ্ণুতার একাংশ। স্রোত, কিন্তু সম্পূর্ণ নদী নয়। এসব দিক থেকে এ বই অসম্পূর্ণ। এই সঞ্চয়িতায় আছে কেবল কবিতালিপ্ত একজনের পঁচিশ বছরের আবেগী মননী হৃদয়ের উৎসারণ, পৃথিবীতে এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু আশ্চর্য ভ্রমণের একটি কৃতজ্ঞ নম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য।


আবদুল মান্নান সৈয়দের শ্রেষ্ঠ কবিতা


 

ডিফিকাল্ট ডটার্স - মঞ্জু কাপুর (অনুবাদ - আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু)

ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক মঞ্জু কাপুরের প্রথম উপন্যাস 'ডিফিকাল্ট ডটার্স' ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে কমনওয়েলথ রাইটার্স পুরষ্কার অর্জন করে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সময় নিয়ে লিখিত তাঁর গবেষণাধর্মী উপন্যাসে প্রেম ছাড়াও বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, নারীবাদ, সমসাময়িক পারিবারিক ও শহুরে মূল্যবোধের মতো বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ কারিগরের দক্ষতায়।

ঔপন্যাসিকের বর্ণনাভঙ্গির কারণে অনেক ঘটনা ও চরিত্র পাঠকের কাছে পরিচিত ও ঘনিষ্ট মলে হয়। ভারত বিভাগপূর্ব সময়েও নারীরা প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং তাদের কণ্ঠ সোচ্চার হতে শুরু করেছিল সকল পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও। নারী ও পুরুষের মাঝে বৈষম্যের যে প্রাচীর ছিল তা ক্রমেই দূর হয়ে আসছিল।

শিক্ষিত নারীদের আবেগের যে দিকটি অবহেলিত ছিল এবং তাদের আকাঙ্খা অবদমিত রাখতে বাধ্য করা হত তার স্ফুরণ ঘটানোর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় 'ডিফিকাল্ট ডটার্স'-এ ৷ মঞ্জু কাপুর স্বীকার করেছেন থে, তার উপন্যাসের মূল চরিত্র 'বীরুমতি' আসলে তার মা, যিনি তার বাবা-মা'র যন্ত্রণার উৎসে পরিণত হয়েছিলেন। এর সাথে যুক্ত হয়েছিল দেশ বিভাগকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত বেদনাদায়ক ঘটনাগুলো, যা তিনি পাঠককে জানানোর তাগিদ অনুভব করে উপন্যাসটি লিখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি তার প্রচেষ্টায় যে সফল হয়েছেন তার প্রমাণ 'ডিফিকাল্ট ডটার্স' প্রকাশিত হওয়ার পর এটি বেস্ট-সেলারে পরিণত হওয়ায়।

এক যুগ আগে উপন্যাসটির প্রথম বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত 'ডিফিকাল্ট ডটার্স' -এর কোনো সংস্করণ প্রকাশিত না হওয়ায় সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'নালন্দা' বাস্তবধর্মী এই উপন্যাসটি পুনঃপ্রকাশ করে পাঠকের আগ্রহ পূরণে এগিয়ে এসেছে।

ডিফিকাল্ট ডটার্স - মঞ্জু কাপুর (অনুবাদ - আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু)



রহস্যের আলোছায়া - আনন্দ বাগচী

রুটিতে মাখন মাখাতে মাখাতে সুনন্দ ঠাট্টা করে কী একটা কথা বলেছিল, অমিয় শুনতে পায়নি । হলিডে হোমের খোলা জানলায় দাঁড়িয়ে সে তখন বাইরের দৃশ্যে মশগুল। কবিমানুষ, তার ওপর এই প্রথম কলকাতার বাইরে এমন এক মনোরম জায়গায় বেড়াতে এসেছে। স্কুলের পরীক্ষা, অভিভাবকের শাসন, হাতিবাগান-শ্যামবাজারের হট্টগোল ছাড়িয়ে এমন নির্জনতা আর নদীপ্রান্তর বনভূমি তাকে কেমন উদাস আর বেহুঁশ করে দিয়েছে। একটা গানের লাইন নিচু গলায় গুনগুন করতে করতে সে হঠাৎ থেমে গেল। এভাবেই শুরু কাহিনীর...

রহস্যের আলোছায়া - আনন্দ বাগচী


মৃত্যুর টিকিট - আনন্দ বাগচী

পলক ফেলারও সময় দিল না, দুচোখে কেউ যেন আচমকা আলকাতরা ছুড়ে মারল। সঙ্গে সঙ্গে সুনন্দ আর শহর অন্ধ। অন্ধকার। লোড-শেডিং। সুনন্দ আর টাল সামলাতে পারল না, একটা ধাক্কা খেয়ে পায়ে পা বেধে পড়ে গেল। পড়ে যেতে যেতে টের পেল, তার গা ঘষটে ঝড়ের মতো কিছু বেরিয়ে গেল। গোরু কিংবা কুকুরের পাল অনেক সময় এরকম ঝাড় তুলে ছুটে যায়। প্রথমে তাই ভেবেছিল, কিন্তু না, পরের মুহূর্তেই টের পেল ওরা মানুষ। চার-পাঁচ জন হবে। সুনন্দর পেছন থেকে ছুটে এসে সামনের দিকে চলে গেল। ব্যাপারটা কী তা বুঝতে পারার আগেই গোটা-দুই চোখ ঝলসানো ফ্ল্যাশ দিল, তারপরই গায়ে-গায়ে সেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। মাটি কাঁপিয়ে প্রচণ্ড শব্দে বোমা...

মৃত্যুর টিকিট - আনন্দ বাগচী

ছোঁ - আনন্দ বাগচী

ক্যারমের বোর্ডে তখন নিখিলেশ তার প্রতিপক্ষ সুনন্দকে একেবারে কাবু করে এনেছে। ওর আঙুলে যেন ম্যাজিশিয়ানের আত্মা ভর করেছে। স্ট্রাইকার ছুটছে নির্ভুল বুলেটের মতো।

নিখিলের বোন শিখা উল বুনতে বুনতে দেখছিল। হাততালি দিয়ে বলল, "ক্যালকাটার টিকটিকির এবারও ন্যাজ খসে গেল! আরে বাবা, ডেল্লি হচ্ছে বরাবরের রাজধানী, তার সঙ্গে কি ওই বাঙালিটোলার---”

সুনন্দ সঙ্গে সঙ্গে বাধা দিল, "বরাবরের না। হিস্ট্রিটা একটু ভাল করে উলটে দেখিস। ক্যালকাটা ইজ এখনো...

ছোঁ - আনন্দ বাগচী

চোখের আড়ালে - আনন্দ বাগচী

দুপুর থেকে আজ একটানা পড়ার বইয়ের সঙ্গে রগড়ারগড়ি চলছিল সুদীপ্তর। কিন্তু মিথ্যেই। যা পড়ছিল তার সিকিভাগও মাথায় ঢুকছিল না। গায়ের জোরে মল্লযুদ্ধই হয়, পরীক্ষার পড়া হয় না। অগত্যা সকালে কিনে আনা পেপারব্যাকখানাই টেনে নিয়ে লম্বা হয়েছিল। কিন্তু এমন জমজমাট রহস্যরোমাঞ্চের বইয়েও মন বসল না কেন জানি। শেষে হ্যাত্তেরি বলে ব্যাঙবাজি খেলার কায়দায় বইখানাকে ছুঁড়ে দিল টেবিলের ওপর। এভাবেই শুরু কাহিনী...


চোখের আড়ালে - আনন্দ বাগচী

Saturday, December 10, 2022

রাজনগর - অমিয়ভূষণ মজুমদার

রাজনগর উপন্যাসটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে গত শতকের সত্তর দশকের গোড়ায় আর এটি গ্রন্থ হিসেবে বাজারে এসেছে তিরাশি সনে। ১৮৬০ সন থেকে ১৮৮৩ সন-ব্যাপী মোট তেইশ বছরের কড়চা এটি। একটি রাজপরিবার ঘিরে তেইশ বছরের চালচিত্র এ উপন্যাস। সতেরো পরিচ্ছদবিশিষ্ট বড় একটি উপন্যাস এটি। শুরু হয়েছে ফিটন- গোরুর গাড়ি দিয়ে আর শেষ হয়েছে অ্যালবাট্রসের মতো স্টিমারটির কুতঘাটে নোঙর করা আর রাজনগরে রেলস্টেশন প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে। এটি বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক উপন্যাস না হলেও ইতিহাস আশ্রিত গল্প তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সময়কে ধরার জন্য অমিয়ভূষণের যে নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতা তা সত্যিই ধন্যবাদ দেওয়ার মতো।

রাজনগর - অমিয়ভূষণ মজুমদার


রক্তচোষা - অজেয় রায়

"ঘাটশিলা শহরটি তকতকে পরিষ্কার। বাড়িঘর লোকজনের ঘেঁষাঘেষি নেই। শহরের বাইরে চারপাশে ধু-ধু পাথুরে মাঠ। কোথাও শাল বন। একধারে পরপর কতগুলো জঙ্গলে ঢাকা ছোট ছোট পাহাড়। শহরের পাশ দিয়ে গেছে সুবর্ণরেখা নদী। চওড়া নদীখাতের ভিতর প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড পাথরের চাইয়ের ফাঁকে হু-হুঁ করে জল ছুটে চলেছে। সুবর্ণরেখা ছাড়াও কয়েকটি ছোট ছোট পাহাড়ি নদী আছে ধারে কাছে...


রক্তচোষা - অজেয় রায়


 

মুঙ্গু - অজেয় রায়

যেদিন প্রথম ছোটদের জন্য দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প লেখা শুরু হয়েছিল, সেদিন থেকে শিশুসাহিত্যের একটা নতুন দিগন্ত খুলে গেছিল। বলা বাহুল্য, এর সূচনা হয়েছিল ইয়োরোপে। এবং সে সময়ে শিশুসাহিত্যের কয়েকটি শ্রেষ্ঠ রত্ন দিনের আলোর মুখ দেখেছিল। রবার্ট লুইস স্টিভেনের ট্রেজার আইল্যান্ড, কিডন্যান্ড, জুল ভের্নের ছোটবড় সকলের জন্য লেখা নানান বিজ্ঞানভিত্তিক কিংবা অসমসাহসিক অভিযানের নানান বইয়ের গুণ আজ পর্যন্ত ম্লান হয়নি। পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য বিস্ময়ের দিকটা চিরকালই ছোটদের মুগ্ধ করেছে। এ-ও তাদের বড় হওয়ার একটা বলিষ্ঠ দিক; অজ্ঞাতকে জানবার, দুর্গমকে জয় করবার, প্রতিকূল শক্তির সঙ্গে লড়বার, দেহ-মনের বল আহরণের প্রবল একটা দিক...


মুঙ্গু - অজেয় রায়

মিস্টার বাসুর ফরমুলা - অজেয় রায়

অজেয় রায় হলেন প্রকৃত বিজ্ঞানভিত্তিক কিশোর উপন্যাসের জগতে একজন বিশিষ্ট লেখক। এঁর গল্পে সরস ভাষায় প্রকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য পরিবেশন করা হয়। এগুলি পাঠ্যপুস্তকের চাইতে বেশি মূল্যবান, কারণ ছেলেমানুষরা আনন্দ এবং আগ্রহের সঙ্গে পড়ে। এঁর প্রচ্ছন্ন রসিকতাগুলিও পরম উপভোগ্য। আজগুবি গল্প লেখা বরং সহজ, কিন্তু তথ্যসমৃদ্ধ আনন্দের উপাদানের অনেক বেশি দাম।


মিস্টার বাসুর ফরমুলা - অজেয় রায়

মানুক দেওতার রহস্য সন্ধানে - অজেয় রায়

সে কীরে, ব্যাংকক! তপনের বন্ধুরা শুনে আঁতকে উঠল।
কেন, তাতে কী? তপন দৃঢ়স্বরে জানায়, লোকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাচ্ছে না? পড়তে যাচ্ছে, চাকরি করতে যাচ্ছে। এ-তো ঢের কাছে। ব্যাংকক চমৎকার শহর। আর। সুনীলদা বলেছে চাকরিটাও ভালো। এক পাঞ্জাবি ব্যবসাদার ও-দেশ থেকে মশলা নিয়ে। ভারতে চালান দেয়। ওর ব্যাংকক অফিসের জন্য একজন বিশ্বাসী লোক চাই। ভালো মাইনে দেবে। অনেক বাঙালি থাকে ওখানে। সাউথ-ইস্ট-এশিয়ার সঙ্গে ভারতের কদ্দিনের যোগাযোগ জানিস?
সব শুনে বন্ধুরা ঘাড় নাড়ল, তা বটে, তা বটে। ঠিক আছে, যা দেখ কেমন লাগে। ছুটি- টুটি দেবে তো?
অত দূরে? মা খবরটা শুনে তপনের মুখের দিকে চেয়ে বললেন। তপনের বাবা নেই। মা একটা স্কুলে পড়ান।
তপন বলল, কিছু দূরে নয়। তুমি ভেবো না। সুনীলদা অ্যাদ্দিন রয়েছেন।

এভাবেই গল্পের শুরু...

মানুক দেওতার রহস্য সন্ধানে - অজেয় রায়

বাস্তেন দ্বীপে অভিযান - অজেয় রায়

সুনন্দ হঠাৎ খপ করে আমার হাতটা চেপে ধরে বলল, দাঁড়া। সামনে একটা ছিনতাই কেল মনে হচ্ছে। দেখি ব্যাপারটা? দুজনে স্তব্ধ হয়ে যাই। একটু সরে গেলাম পাশে গাছের ছায়ার আড়ালে। চুপচাপ দেখতে থাকি।

কলকাতা শহর। রাত দশটা বাজে প্রায়। আমি আর বন্ধু সুনন্দ গিয়েছিলাম গঙ্গার ধারে বেড়াতে বেড়াতে এবং আড্ডা মারতে। ওখানে আরও কয়েকজন বন্ধু প্রায়ই জমা হই সন্ধে থেকে।

হেঁটে ফিরছিলাম রাজভবনের গা ঘেঁষে। এসপ্ল্যানেড় অবধি হেঁটে গিয়ে বাস ধরব। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ। গরম কমেছে কলকাতায়। তবে শীত পড়েনি তেমন। ভালোই লাগছিল হাঁটতে। ফুটপাতে তখন পথচারীর সংখ্যা বেশ কম। রাস্তায় গাড়ি ছুটছে। হু হু করে মাঝে মাঝে। রাজভবনের পাঁচিলের ধারে ধারে গাছগুলোর লম্বা লম্বা ছায়া পড়েছে ফুটপাতে। এক ফালি চাঁদ আবছা আলো ছড়াচ্ছে আকাশে। স্ট্রিট লাইটগুলো অবশ্য জ্বলছে। আলো-আঁধারি মিশেল বেশ রহস্যময় পরিবেশ...

বাস্তেন দ্বীপে অভিযান - অজেয় রায়


 

কেল্লাপাহাড়ের গুপ্তধন - অজেয় রায়

চৈত্র মাস। রতন এসে প্রস্তাব দিল, চল, কেওঞ্চরগড় বেড়িয়ে আসি। ছোটকাকার বাড়ি।

রতন ও আমি ছেলেবেলার বন্ধ। ও ভূতত্তের ছাত্র, আপাতত গবেষণা করছে। আমার বিষয় প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস। আমিও গবেষণা করছি একটি ফেলোশিপ পেয়ে- প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে।

কেওঞ্চর উড়িষ্যার শহর এইটুকুই জানতাম, তার বেশি কিছু না। তাই প্রথমটা একটু গাঁইগুঁই করছিলাম। রতন তাড়া দিয়ে বলল, চ চ, প্রাগৈতিহাসিক! শুনেছি জায়গাটা দারুণ। যাসনি তো কখনও। দুজনেরই খোরাক মিলবে। ওখানে প্রচুর পাহাড়-জঙ্গল। ছোট বড় পুরনো মন্দির আর মুর্তির ছড়াছড়ি। আমিও ধারে-কাছের খনিগুলো দেখে নেব। আর কাকা কাকিমা দুজনেই গ্র্যান্ড লোক, বুঝলি।

দিন কয়েকের মধ্যেই কেওঞ্জরগড় গিয়ে হাজির হলাম। রতনের কাকা মিস্টার দত্তকে দেখে প্রথমে একটু ঘাবড়েছিলাম। বয়স প্রায় পঞ্চাশ বছর, লম্বা ভারিক্কি সুপুরুষ চেহারা...

কেল্লাপাহাড়ের গুপ্তধন - অজেয় রায়

আমাজনের গহনে - অজেয় রায়

দুনিয়ায় কত জায়গাতেই তো যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সাধ থাকলেই সাধ্যে, কুলোয় না। তাই মনে মনে বেড়াতে যেতে পারি এমন সুযোগ একমাত্র যাতে পাওয়া যায় তেমন বই পেলে আর কোনো দুঃখ থাকে না। কিন্তু তেমন বই কি সহজে মেলে? যাঁর কল্পনায় ভর করে যাব, তিনি হয়তো যেখানকার কথা বলছেন, সেখানে নিজে তো যান-ই নি, ভালো করে ঠিকমতো খবরাখবরও রাখবার চেষ্টা করেননি। তিনি হয়তো উত্তর মেরুতে পেঙ্গুইন পাখি দেখিয়ে ছাড়বেন আর দক্ষিণ মেরুতে শাদা ভাল্লুক।

তবে সে রকম বই যে বাংলায় মোটে নেই, তা কেউ যেন না বলে। এই তো আমার হাতে রয়েছে আমাজনের গহনে। যেমন তেমন জায়গায় নয়, সেই দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরের অজানা পেরু আর বলিভিয়ার যে সব অঞ্চলে আমাজন নদীর সব ধারাপথ এখনো পুরোপুরি খুঁজে বার করা হয়নি, সেইখানে যদি যেতে হয় তো আমি অজেয় রায়ের সঙ্গেই যাব। উত্তেজনা রোমাঞ্চ গা-ছমছম করা ভয় আর রুদ্ধশ্বাস উদ্বেগের খোরাক তো পুরোপুরি পাবই, সেইসঙ্গে এইটুকু নিশ্চিত মানব যে প্রাকৃতিক ভৌগোলিক যা সব বিবরণ পাচ্ছি, তার মধ্যে এতটুকু ভুল কোথাও নেই। আমাদের ছোটদের মনগুলোকে সমস্ত পৃথিবীতে সার্থকভাবে ঘুরিয়ে আনবার জন্যে এই আমাজনের গহনের মতো বই আর অজেয় রায়ের মতো লেখকের বড় দরকার।

আমাজনের গহনে - অজেয় রায়

Thursday, December 1, 2022

হাফ গার্ল ফ্রেন্ড - চেতন ভগত

বিহারের এক মেধাবী, বাস্কেটবল খেলায় পারদর্শী এবং সৌম্যদর্শন তরুন- মাধব ঝা। বড় বংশের ছেলে সে। তবে বংশ টিকে থাকলেও সময়ের গর্ভে হারিয়েছে বড় শব্দটি। দিল্লীর নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম কলেজে পড়তে এসে দেখা হয় রিয়ার সাথে। জীবনে নতুন দুয়ার খুলে যায় তার।

রাজ্যহীন রাজকুমার মাধবের পরিবার, হারানো ঐতিহ্য এমনকি ছোট্ট ঘরের গল্পের মণ্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা রিয়া নিজের কথা বলে কমই। ধনাঢ্য পিতার মেয়ে হয়েও যেন গল্প করার বিষয় ছিল না তার। আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন এই সুন্দর মেয়েটিকে কোন সে গোপন ব্যথা নিশ্চুপ করে রাখে?

রিয়া সম্পর্কটাকে শুধু বন্ধুত্বের মাঝে রাখতে চাইলেও বাস্কেটবল ফ্রেন্ড রিয়াকে ভালবেসে ফেলে মাধব। একটা সমঝোতায় আসে দুজনে। রিয়া হয় তার হাফ গার্লফ্রেন্ড।
কিন্তু সামাণ্য একটা ভুল রিয়াকে দূরে চলে যেতে বাধ্য করে। কিভাবে হবে ভুল বুঝাবুঝির অবসান? আদৌ কি হবে?

 

রেভুল্যুশন ২০২০ - চেতন ভগত

২৯৬ পৃষ্ঠার বইটি ত্রিভুজ প্রেমের। কিন্তু শুধু ত্রিভুজ প্রেমের গণ্ডির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় ‘রেভুলেশন ২০২০’ উপন্যাসটি। বইটিতে একাধারে খুঁজে পাওয়া যাবে দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক দুর্নীতি এবং তারুণ্যের স্বপ্নের বাস্তবায়নের একাংশ।

রেভুল্যুশন ২০২০ - চেতন ভগত