Pages

Sunday, June 22, 2025

কলকাতার রাত্রি রহস্য - হেমেন্দ্রকুমার রায় (কৌশিক মজুমদার সম্পাদিত)

 

কলকাতার রাত্রি রহস্য - হেমেন্দ্রকুমার রায় (কৌশিক মজুমদার সম্পাদিত)

মেঘনাদ গুপ্ত ছদ্মনামে হেমেন্দ্রকুমার যখন এই বইটি লিখছেন, তখনকার কলকাতা আর আজকের কলকাতা এক না। লপেটা, গ্যাসের আলো, ছ্যাকরা গাড়ি, হেজেলিন, আবু হোসেন শব্দগুলো তখন বাঙালির রোজকার শব্দবন্ধে থাকলেও এখন তারা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। সেখানে কলকাতার নৈশ জীবনের বাস্তবচিত্র আঁকা হয়েছে। বোঝা যায়, লেখক লেখার খাতিরে বিপদের ঝুঁকি নিয়েও রাতের কলকাতার বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করে এই বই লিখেছিলেন। প্রায় একশো বছর আগের কলকাতার গণিকা জীবন, গুন্ডা আখড়া, চিনে পাড়া, নাট্যশালা, শ্মশান ইত্যাদি বিচিত্র অন্ধকার জগতের রোমহর্ষক অজানা সামাজিক ইতিহাস জানার মূল উৎস এখনও বটতলার চটুল বইগুলো। কিন্তু সে লেখা নিতান্ত সত্য-মিথ্যের মিশেলের ফিকশন। কিন্তু এই বইটি খাঁটি নন-ফিকশন। আর সেখানেই এই বইয়ের গুরুত্ব। প্রায় ফটোগ্রাফের মতো অতীত কলকাতার রাত্রি রহস্যকে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন নিখুঁত ভাবে। অতীতের বইটিকে টীকা, অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্র ও অলঙ্করণ-সহ নব রূপে কলকাতার রাত্রি রহস্য নামে প্রকাশ করেছে বুকফার্ম। (সম্পাদনা ও টীকা কৌশিক মজুমদার)



রবিন হুড - কুলদারঞ্জন রায়

 

রবিন হুড - কুলদারঞ্জন রায়

রবিন হুডের মনোমুগ্ধকর অভিযানের আখ্যানে, প্রিয় পাঠক, আপনাকে স্বাগতম।

বিখ্যাত এই ডাকাত সর্দার আর অনুসারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন শেরউডের গহিন অরণ্য থেকে। শুধু তাই না, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে রক্ষা করতে পারেন অত্যাচারিতদের, মোকাবেলা করতে পারেন অবিচারের। ডুব দিতে পারেন তির প্রতিযোগিতা, গা শিউরে তোলা অভিযান আর গোপন সব আড্ডায়। বইটির প্রতি পাতা রবিন হুডের অসাধারণ দক্ষতা, এবং তার চাইতেও অসাধারণ মানসিকতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে আপনাদের।

তবে হ্যাঁ, বিপদও আছে কিন্তু। নটিংহামের শেরিফ, গাই অফ গিসবোর্ন, আর অত্যাচারী হারফোর্ডের বিশপ আচমকা আপনার পথ আটকে দাঁড়ালে আবার বলবেন না যেন: আগে কেন সাবধান করে দিইনি! তবে ভয় নেই, হাতের শিঙ্গায় জোরে তিনটি ফুঁ দিন। লিটল জন, উইল স্টাটলি, মালচ আর উইল স্কারলেটসহ পুরো দস্যুদলকে নিয়ে ছুটে আসবে রবিন...
...এই কথাটা বোধহয় দেওয়াই যায়!



আশ্চর্য দ্বীপ - জুল ভের্ন (অনুবাদ - কুলদারঞ্জন রায়)

 

আশ্চর্য দ্বীপ - জুলভার্ন (অনুবাদ - কুলদারঞ্জন রায়)

জুল ভের্ন রচিত ‘দ্য মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড’ অবলম্বনে কুলদারঞ্জন রায় অনূদিত আশ্চর্য দ্বীপ। বিখ্যাত ফরাসি লেখক জুল ভের্ন বিজ্ঞানভিত্তিক রোমাঞ্চকর কাহিনি লিখেছেন প্রায় দেড়শো বছর আগে, কিন্তু আজও সেই অপূর্ব অ্যাডভেঞ্চারের গল্পগুলি কিশোর-চিত্তে রোমাঞ্চ জাগায়।

জুল ভের্ন ১৮৭২ কিংবা ১৮৭৩ এর শুরুতে এই উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন। মূল উপন্যাসে প্রচুর কেমিক্যাল প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তির বর্ণনা রয়েছে। উপন্যাসটি লেখার সময় লেখক অনেকটা সময় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে গিয়ে কেমিস্টদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। অনেক সমালোচকের মতে উপন্যাসে বর্ণিত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট এরকম আশ্চর্য দ্বীপের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় যেখানে এত বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি এবং গাছপালার সম্ভার দেখা যাবে। অন্য একদল সমালোচকের মতে লেখক লিঙ্কন দ্বীপ বলতে গোটা পৃথিবীতে মানব সভ্যতার বিকাশকেই বুঝিয়েছেন, যেখানে আগুন জ্বালানো থেকে শুরু করে গুলি-বারুদ তৈরি সবই দেখানো হয়েছে।

বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদগুলি যাঁরা বাংলা ভাষায় সার্থক অনুবাদ করে দেশের ছেলেমেয়েদের হাতে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কুলদারঞ্জন রায় একজন পথিকৃৎ। উপন্যাসটি ধারাবাহিক আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় সন্দেশ পত্রিকায় বৈশাখ ১৩৩২ সালে ত্রয়োদশ বর্ষ ১ম সংখ্যা থেকে। সেই সঙ্গে জুল ফিহা-র মূল অলংকরণগুলিও প্রকাশিত হয়েছিল। পরে লীলা মজুমদার এবং সত্যজিৎ রায়ের সম্পাদনায় সন্দেশে বৈশাখ ১৩৭১ থেকে চৈত্র ১৩৭৩ অবধি উপন্যাসটি ধারাবাহিক আকারে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল। কয়েকটি অলংকরণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়।






Monday, June 16, 2025

নিরভিসন্ধি - কৌশিক মজুমদার

 

নিরভিসন্ধি - কৌশিক মজুমদার

এই গল্পটির নায়ক লেখকের ম্যাসন সিরিজের তুর্বসু রায়… তুর্বসু কে নিয়ে আরো একটি লকডরুম মিস্ট্রি। লেখক ছুঁয়ে গেছেন রহস্য, অলৌকিক, অতিলৌকিক আর ভয়ের চেনা অচেনা সব কটি বিন্দু। আসুন, এই অসীম তমসায় আবার আপনি আমন্ত্রিত।



নীবারসপ্তক - কৌশিক মজুমদার

নীবারসপ্তক - কৌশিক মজুমদার

"সূর্যতামসীতে যে রহস্যের সমাপ্তি ঘটিয়াছিল বলিয়া আপাতদৃষ্টিতে মনে হইয়াছিল, প্রকৃত প্রস্তাবে উহা ঘটনার সূচনামাত্র। যে ভয়ানক ষড়যন্ত্রের জটাজাল ক্রমে এই দেশের পটভূমিতে ঘনাইয়া আসিতেছিল, কেহ তাহার বিন্দুমাত্র সন্ধান রাখে কি? প্রিয়নাথ দারোগা, তারিণীচরণ, গণপতি, সাইগারসন সকলই এক অদ্ভুত ক্রীড়ার ক্রীড়নক। অবাক বিষ্ময়ে তাঁহারা সকলে চাহিয়া দেখিবেন- অবশেষে ভূত জাগিয়াছে"...

একশো বছর পরে আবার সেই ভূতের ঘুম ভেঙেছে। একের পর এক মৃত্যু। হত্যা। দুর্ঘটনা। এঁরা কি পরস্পরের থেকে আলাদা? নাকি সবই এই ভূতের কারসাজি? না চাইতেই এই রহস্যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পরে তুর্বসু রায়। তাঁর হাতে ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু তথ্য আর তারিণীর রেখে যাওয়া অদ্ভুত এক সূত্র, যার সঙ্কেত উদ্ধার না করতে পারলে এ বিপদ থেকে মুক্তি নেই।

খেলা শুরু হয়ে গেছে। তবে এবার রহস্য আরও গভীর। আরও বিস্তৃত। আরও জঘন্য। জানা যাবে আগে ঘটে যাওয়া অনেক ছেড়ে আসা জিজ্ঞাসার উত্তর, দেবাশীষ গুহের মৃত্যুর পিছনের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, জড়িয়ে পড়বেন একের পর এক মানুষরা। তারিণী, গণপতি, প্রিয়নাথ, তুর্বসু তো আছেনই, তাঁরই সঙ্গে ঘটনাপ্রবাহে জড়িয়ে পড়বেন সেকালের বঙ্কিমচন্দ্র, অমৃতলালের মত মানুষ থেকে আজকের চন্দননগরের দুই "সত্যিকারের" গবেষক। তাঁরাও সাহায্য করবেন এই ভয়ানক লোমহর্ষক রহস্য সন্ধানে।



 

Wednesday, June 4, 2025

যব খেত জাগে - কৃষণ চন্দর

রাঘব রাও-এর বয়স বাইশ। জেলখানায় আজ তার শেষ রাত। আগামীকাল ভোরে তাকে ফাঁসী দেয়া হবে।জেলের অন্ধ কুঠরীতে শুয়ে শুয়ে রাঘব রাও তার ফেলে-আসা দিন-গুলির দিকে একবার ফিরে তাকাল-তার সমস্ত জীবনের ওপর একবার নিমেষে চোখ বোলালো। খুব সাবধানে সে তার স্বল্প পরিসর জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে এক এক করে গুনতে লাগল। কিসান যেমনটি ভাবে নগদ পাই-পয়সা থলিতে রাখার আগে ভালো করে উলটে পালটে দেখে, ঠিক সেইরকম সাবধান সতর্কতা আর সংশয়ের ভাব নিয়ে রাঘব রাও তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উলটে-পালটে পরখ করতে লাগল...

যব খেত জাগে - কৃষণ চন্দর



নয়া ইস্তেহার - কৃষণ চন্দর

গাঁয়ের সব লোক চণ্ডীমণ্ডপে জড়ো হয়েছে; পিপুল গাছের নীচে। গাছের গুড়িতে ঝুলছে লাল লাল গুতো। সেখানে রয়েছে অনেক ঠাকুর-সিপুর মাখানো। আচারিয়া বক্তৃতা দিচ্ছেন। দীর্ঘকায় চেহারা, গাল তোবড়ানো। চিবুকে দাড়ি। চশমার কাঁচের ওপরের ভাগটা দূরের জিনিস দেখার জন্তে, নীচের ভাগটা কাছের জিনিস। দুই অংশের মাঝখানে তাঁর গুলির মতো গোল গোল চোখের মণি দুটো ওপরে নীচে অনবরত ওঠা-নামা করছে। এভাবেই বইটির শুরু....

নয়া ইস্তেহার - কৃষণ চন্দর